স্মৃতিচারণ সংযোগ । কাওসার চৌধুরী
সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী- চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্র নির্মাতা, আমার চলচ্চিত্র শিক্ষকদের একজন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবির একটি ‘ফিল্ম আ্যপ্রিসিয়েশন কোর্স’ প্রবর্তন করেছিলেন। সেই কোর্সের আমিও একজন শিক্ষার্থী ছিলাম। ওখানেই সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর সাথে প্রথম মিথষ্ক্রীয়া। পরে আমাদের মাঝে হৃদ্যতা যখন বাড়তে থাকে তখনি তিনি হয়ে উঠেন আমাদের ‘জাকী ভাই’।
জাকী ভাইদের সাথে আরো যে ক’জন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে ওই কোর্সে পেয়েছিলাম- তাঁদের মধ্যে বেবী ইসলাম, হায়দার রিজভী, বাদল রহমান, আনোয়ার হোসেন, মাকসুদুল বারী, আমজাদ হোসেন, এম এ সামাদ, মালীক মনসুর, আব্দুল মজিদ, শফিকুল ইসলাম স্বপনসহ আরো কয়েকজনের কথা মনে পড়ে। ওখানে মোস্তাফা মনোয়ার এবং খ ম হারূন ক্লাস নিতেন শিল্প নির্দেশনা বিষয়ে। সালেক খান অভিনয় নিয়ে কথা বলতেন। জাকী ভাই ‘ডিরেকশন’ বিষয়ে ক্লাস নিতেন। এঁদের মধ্যে বাদল রহমান, আনোয়ার হোসেন, মালেক মনসুর, আমজাদ হোসেন, এম এ সামাদ- আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন! আলমগীর কবির তো গিয়েছেন আরো অনেক আগেই! তাঁদের সকলের আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক।
গতকাল (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩) আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন জাকী ভাই। চলচ্চিত্র বিষয়ে কোন পরামর্শ পেতে চাইলে, যাদের কাছে গিয়ে একটু হাঁটু গেঁড়ে বসতাম- তাদের সংখ্যা একেবারে শুন্যের কোটায় নেমে এলো বোধহয়- জাকী ভাইয়ের প্রস্থানের মধ্যে দিয়ে! হায়………!
এইতো, গত মার্চ মাসেও দেখা হলো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে। ওটাই শেষ দেখা! এরপরে কথা হয়েছে ফোনে কয়েকবার, দেখা হয়নি!
হে আমার শিক্ষক, আমার দীক্ষাগুরু, আপনি যেখানেই যাবেন- অনেক ভালো থাকুন সেখানে। অনেক কৃতজ্ঞতা আর আন্তরিক ভালোবাসা আপনার জন্য।
——————————————-
ছবিটি তুলেছিলেন আমার অনুজপ্রতীম বন্ধু মিজানুর রহমান জনি।
তাঁকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।লেখক- নাট্য অভিনেতা ও নির্মাতা
(১৯সেপ্টেম্বর,২০২৩ তারিখে প্রকাশিত লেখকের টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত)
স্মৃ:চা:স:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য