সংযোগ খবর । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংযোগ ডেস্ক
৫ অক্টোবর,২০২৩ ইউরেনিয়াম হস্তান্তর হবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ চেষ্টায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে। এটা দেশের বিরাট অর্জন। জানালেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ।
ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ।
কোনো দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) পৌঁছলে তখন দেশটি আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হয়।সুতরাং একথা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে যে, অক্টোবরেই বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হতে যাচ্ছে।
গতকাল রূপপুরে ইউরেনিয়াম এসে পৌঁছলেও বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের কাছে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম জ্বালানি হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। এ সময় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তির (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানোর উপস্থিত থাকার কথা আছে।
প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ‘ভিভিইআর ১২০০’ মডেলের। এই মডেলের কেন্দ্র রাশিয়ার বাইরে বাংলাদেশেই প্রথম নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি চলতি বছরের ডিসেম্বরে ও দ্বিতীয় ইউনিটটি আগামী বছরে উৎপাদনে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভির বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটির কাজ পেয়েছিল জার্মানির ‘সিমেন্স এজি’। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজও প্রায় শেষের দিকে ছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে কাজের গতি কমে যায়।
এ বিষয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক মো. শৌকত আকবর বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রিডলাইন ও সাবস্টেশন নির্মাণের কাজ এগোতে পারেনি। তবে এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। আশা করছি, গ্রিডলাইন সময়মতো হবে। গ্রিডলাইন নির্মাণ সম্পূর্ণ না হলে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা যাবে না।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (রসাটম) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করছে। আর্থিক অঙ্কে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রাশিয়া। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে পারে। দুটি ইউনিটে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
সূত্র- দৈনিক কালের কন্ঠ/৩০-০৯-২০২৩
বি:প্র:স:বি:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য