জনসংযোগ প্রতিবেদন । এম আনিছুর রহমান
শুরুটা গত কয়েক মাস যাবৎ হলেও সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে মাত্রা ছাড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে গুজবের সংখ্যা। সবশেষ গুজবটি প্রকাশ পায় গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইটেক অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেছেন। যেখানে অনেকেই পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন সজীব ওয়াজেদ জয়কে। কিন্তু এমন কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যমকে জানাননি তিনি। বিষয়টি ‘সম্পূর্ণ গুজব’ বলে নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দফতর।
এবিষয়ে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে । তিনি লিখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইটেক এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেছেন-এ ধরনের একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’
ইতিপূর্বে তার সম্পর্কে যে গুজবগুলো ছড়িয়েছিলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুজবগুলো হলো- মা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না সজীব ওয়াজেদ জয়ের’, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়েছেন জয়’, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে ওমানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে সজীব ওয়াজেদ’, ‘সজীব ওয়াজেদের হাজার কোটি টাকা জব্দ করেছে মার্কিন ট্রেজারারি বিভাগ’, ‘যুক্তরাষ্ট্র খুঁজছে সজীব ওয়াজেদ জয়কে’, ‘যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়েছেন জয়’-এমন অসংখ্য গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়িয়েছে বিগত কয়েক মাস ধরে।
সার্বিক বিবেচনায় দলটির শীর্ষ মহল মনে করছেন এবার আওয়ামী বিরুধীদের গুজবের মাষ্টার টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন জয়।
তবে সব জল্পনা শেষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মায়ের ৭৭তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে কেক কাটার মূহুর্তের একটি ছবি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোষ্ট করে তিনি নিশ্চিত করেন যে, পরিবার সহ তিনি আমেরিকাতেই আছেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ভার্জিনিয়ায় আমার গলফ ক্লাবে পরিবারের সঙ্গে মায়ের জন্মদিনের ডিনার।’
তাকে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বা ট্রেজারার বিভাগও খুঁজছে না। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অভিযোগও নেই। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী বিরুধীরা শুধু সমালোচনার জন্যই তার বিরুদ্ধে এরকম মিথ্যা বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করেন দলটির নীতি নির্ধারকরা।
জ:প্র:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য