প্রধানমন্ত্রী / জনসংযোগ .কম / ০৯-০৭-২০২০
।এম আনিছুর রহমান ।
জানার আগ্রহ টা আরও বেড়ে গেল । আসলে সুশীল কারা ? কাদেরকে সুশীল বলা হয় ? কি কি যোগ্যতা থাকলে কোন ব্যক্তিকে সুশীল বলা হয় ? উদাহরণ স্বরুপ- দেশের কোন কোন ব্যক্তিকে সুশীল বলা যায় ? সুশীল কি নিজেকে নিজেই ঘোষনা করে- যে তিনি সুশীল ? নাকি রাষ্ট্রীয়ভাবে সুশীল বিষয়ক কোন মন্ত্রণালয় প্রতিবছর তাদের কোন তালিকা বের করে ? সুশীল বা সুশীল সমাজের মর্যাদা কি তা আমরা সবাই জানি কিন্তু প্রকৃত সুশীল ব্যক্তি কারা তা শুধু ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে সুস্পষ্ট হওয়া দরকার নয়ত সুশীল সম্পর্কে ইতিবাচক মূলক নেতিবাচক কিছু বললে কার কার ঘাঁয়ে কাদা লেগে যায় কে জানে ? এই ভয়ে আজ অবধী জ্ঞানী,গুণী, মুর্খ বা অতি জ্ঞানী,অতি গুণী,অতি মুর্খ, কাওকেই সুশীলদের কে নিয়ে ইতিবাচক মূলক নেতিবাচক কিছু বলতে শুনিনাই। এবার যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সন্মানিত ব্যক্তি হিসেবে সুশীলদের নিয়ে কিছু একটা বলেই ফেলেছেন, তাই এবার আমরা জানতেই চাই সুশীল কারা ? এবং দেশে মোট কতজন সুশীল আছেন ? এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কারণে তাদের মধ্যে কার কার গায়ে কাদা লেগেছে তাও জানতে চাই, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের প্রতি সমবেদনা জানাতে আমাদের সুবিধা হবে। মূল কথা হচ্ছে- সব জায়গাতে যদি “অপ” থাকতে পারে তাহলে সুশীলদের মাঝে “অপসুশীল” নয় কেন ? হয়ত আগে ছিলনা,কিন্তু এখন আছে , যেমন আওয়ামী লীগ এ আগে হাইব্রীড/নব্য ছিলনা, এখন আছে । বিষয়টা ঠিক তেমনি। তাই অপ সুশীলদের ভীড়ে প্রকৃত সুশীলগণ দিনকে দিন কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন,বজ্রকন্ঠে সত্য না বলে কেমন যেন ব্যালেন্স করে কথা বলছেন আর প্রতিনিয়ত ছন্দ হারাচ্ছেন। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজড়ে এসেছে বলেই তিনি প্রকৃত সুশীলগণকে এই মন্তব্যের মাধ্যমে অপসুশীলদের বয়কট করে দীপ্ত হস্তে জাগ্রত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাত্র। তিনি প্রকৃত সুশীলদের নয় বরং তথাকথিত হাইব্রীড বা অপসুশীলদের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। এ নিয়ে অপ রাজনীতি করার কিছু নেই ।
দেশে যখন বেপরোয়াভাবে দূর্ণীতি হতে থাকে তখন এই অপ সুশীলরা জাগ্রত হয়ে উঠেন, তারা বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেন এমনকি মধ্যরাতে টক‘শো তে ঝড় তুলেন আর সহসাই বলে উঠেন সরকার প্রধান কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেননা কেন ? আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দূর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে অভিযান চালান, যখন তার নির্দেশে শুরু হয় স্পেশাল অভিযান, যে অভিযানে বাদ পড়েনা নিজ দলের কোন অপরাধী নেতাকর্মীও তখন আবার তারাই বলে উঠেন চুনো পুঠিদের ধরে কি লাভ ? রাঘব বোয়ালরা ত ধরাছোঁয়ার বাহিরেই আছে, সবই আই ওয়াস বা লোক দেখানো । অনেক সময় দেখা যায় এসব নিয়ে কথা বলতে বলতে তুমোল গন্ডগোল লেগে গেছে, এমনকি সরাসরি টক‘শোতেও অনেকেরই কথাবার্তা ও মেজাজ কন্ট্রোলেই থাকেনা । এক কথায় বলতে গেলে যারা বিনীত মেজাজে ও সাবলীল ভঙ্গিতে যেকোন টকিং করতে পারেনা, তারা আবার কিসের সুশীল ? কেন তারা কথিত বক্তা হয়ে এসে অনুষ্ঠানের মান নষ্ট করছেন ? আবার অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষই বা কেন না জেনে না বুঝে বিভিন্ন লিষ্টেট অপরাধী ও ছাগল পাগলদেরকে সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিদের চেয়ারে বসাচ্ছেন তা আমার বোধগম্য নহে । তবে মিডিয়া কর্মী হিসেবে এইটুকু বুঝি প্রতিটি অনুষ্ঠান নির্মাণ ও নিয়মিত প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন বা সরাসরি অর্থলগ্নি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
বলছিলাম বর্তমান সময়ের হার্ডথ্রব সুশীল ও স্বনামধন্য হাইব্রীড আওয়ামীলীগার ও অভাগা বাঙ্গালীর জীবনের নব্য জালাময়ী বাঁশ, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব সাহেদ এর কথা । মাত্র মেট্রিক পাশ করে এবং বছরের পর বছর প্রকাশিত ও প্রমাণিত এত এত চিটিংবাজী করার পরও এমনকি করোনাকালীন এই ঘাতক বৈশ্বিক বিশ্ব মহামারিতেও যিনি করোনার ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যবসা করতে পারে, কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরেও এই ব্যক্তি যদি দেশের সুশীল তালিকায় যুক্ত হতে পারে তাহলে আমি সুশীল বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হতে পারবনা কেন ? তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি এই মর্মে যে,
(১). দেশে বর্তমানে প্রচুর সুশীল জন্মে গেছে, তাই অনতিবিলম্বে দেশে একটি সুশীল বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব করছি এবং এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ার জন্য আমি মো: আনিছুর রহমান সর্বপ্রথম আবেদন করছি ।
(২). যেহেতু হাইব্রীড আওয়ামীলীগাররা দলের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ তাই বাংলাদেশ হাইব্রীড আওয়ামীলীগ নামে একটি নতুন দল গঠন করে ত্যাগী আওয়ামীলীগারদের একটু শান্তি ও স্বস্তিতে বেঁচে থাকার সুব্যবস্থা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা ।
jsongjugnews@gmail.com
fb.com - @jshongjog
পাঠকের মন্তব্য